পান্না পাথরের উপকার যেমন আছে তেমনি পাথরের অপকারিতাও আছে।

পান্না পাথরের অপকারিতা: – পান্না রত্ন পাথর অবশ্যই সব রাশি রত্ন পাথরের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর রত্ন পাথর গুলির মধ্যে একটি। এই রাশি রত্ন পাথরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব সরবরাহ করতে পারে এবং তাই আপনার অবশ্যই একটি ভাল পান্না পাথর পরা বিবেচনা করা উচিত। (You Need To Know About Emerald Panna Stone) জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী পান্না পাথরের বিশেষ উপযোগিতা আছে। এই রত্ন পাথর ঠিকভাবে ধারণ করলে তা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। কথা হচ্ছে, পান্না পাথরের প্রভাব প্রথম কাজ করে ব্যবসা-বানিজ্যে উন্নতি বৃদ্ধিতে। পান্না পাথর ব্যবহারে আয়ের পথের বিস্তার ঘটে এবং ব্যবসায় প্রসার হয়। ফলে নতুন নতুন সুযোগের সাথে সাথে উন্নতি আসতে থাকে। পান্না পাথর হল নবরত্নের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রত্নপাথর। এই পাথর ধারণ করলে উপকার ও অপকার দুইটা হতে পারে।

পান্না যাদের জন্য উপযোগী, এই রত্ন পাথর তাদের মান, সম্মান বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু পান্না পাথর উপযোগী না হলে জীবনে কিন্তু সম্মান নষ্ট হয়ে যায়। পান্না পাথরের অপকারিতা এবং রাশি চক্রে বুধ গ্রহের কুদৃষ্টি, ক্ষারাপ প্রভাব, বা অশুভ প্রবাভ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও বুধ গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য পান্না পাথর ধারণ করা জন্য বলা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে (Negative Effects of Emerald Stone) – পান্নার অপকারিতা কিন্তু আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে। দোষপূর্ণ পরিস্থিতিতে পান্না পাথর ধারণ করলে কিন্তু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় জাতক / জাতিকাকে। রত্নশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ অনুযায়ী ভাল পান্না (Emerald Stone) ধারণ করার সঠিক সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। (Positive And Negative Effects Of Emerald Gemstone) কোন পরিস্থিতিতে আসল পান্না পাথর ধারণ করা উচিত বা উচিত নয়, জেনে নিন— 

কোন রাশিতে পান্না পাথর আছে?

Side Effects of Emerald – সাধারনত যাদের রাশিচক্রে বুধ নামক গ্রহের খারাপ প্রভাব রয়েছে তাদের কে Emerald Stone (পান্না পাথর) ব্যবহার করতে বলা হয়। Emerald (Panna) Stone জন্ম তারিখ অনুযায়ী যাদের বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল থেকে ২১ মে), মিথুন রাশি (২২ মে থেকে ২১ জুন), কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর) ও তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ অক্টোবর) এই  রাশির জাতক / জাতিকাদের জন্য যে পাথর ধারণ করলে শুভ ফল পাবেন তাদের বার্থস্টোন হচ্ছে পান্না পাথর। তবে এক্ষেত্রে অন্য রাশির জাতক – জাতিকারা যারা আছেন তারা পান্না ধারণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাথর পরার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের / জ্যোতিষবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তা না হলে আপনাদের জন্য পান্না পাথর অপকার করতে পারে।  Side Effects of Wearing Emerald Gemstone Ring.

মাস অনুযায়ী পান্না রত্ন পড়া কি ঠিক?

Side Effects of Emerald – পান্না রত্নের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানার আগে আপনি এটি পরা শুরু করুন। যাদের জন্ম মে মাসে বিশেষ করে তাদের জন্য বার্থ স্টোন (Birthstone By Month May) হচ্ছে পান্না রত্ন পাথর। এমন পরামর্শে যদি আপনি পান্না পাথর ব্যবহার করেন তা ‍কিন্তু উচিত না। যদি পান্না পাথর পড়েন  পান্না ‍স্টোন এর উপকারের চাইতে পান্না পাথরের অপকার বেশি হবে। অন্যদিকে, একটি প্রত্যয়িত পান্না রত্ন পাথর পরা সবসময় আপনার জন্য ভাল কাজ করতে পারে না। যদি ভালো পান্না আপনার উপযোগী না হয়, তাহলে এটি আপনার জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে (Negative Effects Of Wearing Emerald Gemstone)। তাই এ ব্যাপারে খুব সাবধান এবং সচেতন থাকবেন কখনোই পান্না পাথর মাস অনুযায়ী ধারণ করার চেষ্টা করবেন না। এক্ষেত্রে আপনার উপকারের চাইতে ক্ষতি বেশী হবার সম্ভাবনা থাকবে।

পান্না পাথর পড়ার সঠিক আঙ্গুল কোনটি?

Side Effects of Emerald – পান্না পাথর ডান হাতের ছোট আঙুলে (কনিষ্ঠা আঙ্গুল) পরা উচিত। এর কারণ হল কনিষ্ঠ আঙুল এবং তার ঠিক নিচের মাউন্ট পামিস্ট্রিতে বুধের সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং, এই আঙুলে ভালো পান্না পাথর পরার মাধ্যমে একজন পান্না পাথর পরার সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারেন। আংটি করে ডান হাতের হাতের ছোট আঙুলে (কনিষ্ঠা আঙ্গুল) পাথর ধারন করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর বা রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে বাম হাতের ছোট আঙুলে পান্না পাথর ধারন করতে পারেন। কিন্তু অন্য আঙ্গুলে পরার্মশ ছাড়া পড়লে অবশ্যই উপকারের চাইতে অপকার হতে পারে। অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া কোনো ভালো পান্না পাথর ব্যবহার করা উচিত নয় । কারণ (You Need To Know About Emerald Panna Stone) পোখরাজ ব্যবহারে উপকার যতোটুকু, তার থেকে বেশি ক্ষতিকর। (Emerald Panna Stone Benefits) পোখরাজ পাথরের অপকারিতা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের পান্না পাথর ধারন করতে হবে এবং ব্রাজিল পান্না সব চাইতে ভালো রত্ন পাথর। না বুঝে অন্য কোন দেশের পান্না পাথর ধারন করা টাও কিন্তু অপকারিতার দিকে প্রভাব বিস্তার করে।

পান্না পাথরের সঠিক কালার নির্বাচন করুন?

পান্নার রং কতটা সুন্দর, তার ওপরে এই পাথরের মূল্য নির্ধারিত হয়। তার সঙ্গে মূল্য নির্ধারক হিসেবে কাজ করে এর কাট ও ক্যারাট। পান্না (Emerald Gemstone) ধারণ করলে পজিটিভ এনার্জি শরীরে প্রবাহিত হয়। চিন্তাভাবনায় নেগেটিভ শক্তি দূর হয় এবং পজিটিভ এনার্জি আসে। পান্না রত্ন পাথর ব্যবহারের জন্য সঠিক কালার নির্বাচন করুন, সঠিক কালার না হলে অপকার হতে পারে। সঠিক কালার মানে পান্না পাথরের অসংখ্য কালার হয়ে থাকে, তাই আপনার গ্রহদশা অনুযায়ী আপনার জন্য রত্ন পাথরের যে কালারটি শুভ হবে। এই কালারটি আপনাকে নির্বাচন করে সঠিকভাবে ধারণ করতে হবে। পান্না পাথরের যে কালার গুলো আপনার জন্য অশুভ সেই রং এর পাথর গুলো কখনোই ধারণ করবেন। এই সঠিক পরামর্শটি আপনি একজন অভিজ্ঞ বংশগত জহুরির কাছ থেকেই পাবেন। পান্না পাথর ব্যবহারের সঠিক নিয়ম বা রত্ন পাথর পরার নিয়ম জানা না থাকলে কখনোই পান্না পাথর ধারন করবেন না, এক্ষেত্রে অপকারিতা প্রভাব বিস্তার করতে পারে জীবনে। তাই ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ধারণ করুন।

আপনার জন্য কত ক্যারেট সঠিক?

গ্রহদশা অনুযায়ী আপনার কত ওজনের পান্না (Emerald Gemstone) পাথর ধারন করা উচিত সেই বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করবেন, তা না হলে পান্না পাথরের অপকারিতা কিন্তু আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে। বুধের গ্রহ দশার গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পান্না পাথর ধারণ করা হয়ে থাকে, কিন্তু কতটুকু গ্রহ দশা খারাপ থাকলে পান্না পাথর ধারন করবেন, আসলে কত ওজনের (ক্যারেট) আপনার জন্য শুভ হবে? তা সঠিক ভাবে জেনে ধারন করবেন। 

পান্নার আংটি কি ভাবে বানাবেন?

যদি পান্না Panna Pathar Stone Ring পাথর আপনার জন্য যথার্থ হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে পান্না যেন আমাদের শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। যদি পান্না পাথর আলগা ভাবে বসানো হয় তাহলে কিন্তু কোনো লাভই হবে না। কোনো ভাবেই উপকৃত হবেন না। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে পান্না পাথর যেন আমাদের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে না হলে পান্নার সুফল থেকে আমরা কিন্তু বঞ্চিত হব এবং পান্না পাথর পড়ে কোনো লাভই হবে না। পান্না ধারন করার পর পরই পোখরাজ (Panna Pathar Stone Benefits) গুণ অনুভব করতে পারবেন। কারন পান্না অত্যন্ত কার্যকরী এবং শক্তিশালী একটি গ্রহরত্ন।

নকল পান্না পাথরের অপকারিতা? পান্না পাথরের অপকারিতা

দোকান থেকে কেনার সময় কী ভাবে বুঝবেন যে পান্না পাথরটি আসল না নকল? (Positive And Negative Effects Of Emerald Gemstone) ভালো পান্না চেনা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। যে কোনও রত্ন কেনার সময় মাথায় রাখবেন, যে কোনও রত্ন তিন মাস পরে ফল দেয়। জ্যোতিষীর থেকে পরামর্শ নিয়ে তার পরই পান্না পাথর পড়া উচিত, না হলে পান্না কিন্তু খুবই সাংঘাতিক একটি গ্রহরত্ন। যদি ভুল লোক থেকে বা ভুল পদ্ধতিতে পান্না গ্রহণ করেন, তাহলে পান্না কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতি এনে দিতে পারে আপনার জীবনে। আসল পান্না রত্ন পাথর ক্রয় করে ধারণ করার চেষ্টা করবেন, নকল পান্না পাথর ধারণ করলে তার অপকারিতা কিন্তু আপনার উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার করবে। 

সঠিক ভাবে রত্ন শোধন না হলে? পান্না পাথরের অপকারিতা

এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন শোধন কী ভাবে করা যায়? পান্না রত্ন পাথর পড়ার পূর্বে প্রতিটি পাথরই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে ধারন করতে হবে, তাহলে পান্না পাথরের অপকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। পান্না পাথর শোধন করার নিয়ম যে কোন পাথরই শোধন ব্যতীত ধারনে সুফল নাও পেতে পারেন। রত্ন পাথর শোধনের পর শুভ সময়ে ধারন করতে হয় এতে অপকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয়কৃত রত্ন পাথর আমরা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করে দিয়ে থাকি। আমাদের, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন করা রত্ন পাথর ধারণ করার পর দ্রুত ফল প্রদান করতে সক্ষম। আয়ুর্বেদাচার্য বাগভট্ট রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধন করা হয়।

উল্লেখিত সকল প্রকার উপকার নির্ভর করে মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর। তাই আল্লাহর নিয়ামত ভেবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে রত্নপাথর ব্যবহার করা উপকারী। শুভ হোক আপনার ভাগ্য। নিলা পাথরের অপকারিতা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই এই নিয়মে পাথর ধারন করার জন্য চেষ্টা করবে আপনারা। বাংলাদেশ ও ভারত বর্ষে পুরস্কার প্রাপ্ত রত্ন বিশেষজ্ঞ ও দীর্ঘ ৪১ বছর অভিজ্ঞ বংশগত জহুরী, ও জ্যোতিষরাজ দয়াল দেলোয়ার চিশতী, তার তন্ত্র শাস্তের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। রত্ন বিশেষজ্ঞ সাথে অনলাইনে নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাৎকার ছাড়াই চ্যাট এবং কল করে রত্নপাথর বিষয়ে পরামর্শ নিন:
☎ imo / Whatsapp: +8801711192111 ☎ imo / Whatsapp: +8801845750651
☎ imo / Whatsapp: +8801868353055